করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা , স‍্যানিটাইজারে টাকা ধুয়ে তবেই নিচ্ছেন কাটোয়া হাসপাতাল পার্কিং এর কর্মীরা

16th April 2020 বর্ধমান
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা ,  স‍্যানিটাইজারে টাকা ধুয়ে তবেই নিচ্ছেন কাটোয়া হাসপাতাল পার্কিং এর কর্মীরা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে জেরবার  ভারত সহ গোটা বিশ্ব ।প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা । এমনই পরিস্থিতিতে টাকার হাত বদল নিয়েও 
সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লো  করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্ক ।বৃহস্পতিবার তারই প্রমান মিললো পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের যানবাহন রাখার পার্কিং সট্যান্ডে পৌছে। দেখাগেল যানবাহন রাখার ভাড়া বাবদ নেওয়া টাকা স্যানিটাইজ করার পর তবেই   তা ক্যাশ বাক্সে ভরছেন স্ট্যান্ডের ঠিকাদার সংস্থার লোকজন ।এই ঘটনাই সামনে এনে দিয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্ক এই রাজ্যের গ্রাম গঞ্জের মানুষকেও কতটা পিছু তাড়া করে বেড়াচ্ছে। 

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল চত্ত্বরেই রয়েছে মোটর সাইকেল ও সাইকেলের পার্কিং  স্ট্যান্ড। সেই স্ট্যান্ড পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন ঠিকাদার সংস্থার লোকজন । সাইকেল ও মোটর সাইকেল 
ছাড়াও অন্য যেকোন যানবাহন হাসপাতাল চত্ত্বরে পার্কিংয়ের করলে তার ভাড়া মেটাতে হয় ঠিকাদার সংস্থার লোকজনকে ।পার্কিংয়ের ভাড়ার  টাকা দেওয়া নেওয়াতেও স্ট্যান্ড কর্তৃপক্ষ যে বিধিনিষেধ তা দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে । 

পার্কিং স্ট্যান্ডের  ঠিকাদার কিংশুক মণ্ডল বলেন , “বিশ্ব জুড়ে মহামারি সৃষ্টি করেছে কোভিড -১৯ ভাইরাস। সেই কারণে  হাসপাতাল চত্ত্বরে নানা সতর্কতা মূলক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।আতঙ্কিত কিংশুক বলেন ,স্বাস্থ্য দপ্তরের পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায়  নানা পদক্ষেপ নিয়েছে । দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন।কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রতিদিন  দেশজুড়ে  আত্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে । কিভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা একপ্রকার সকলেরই বোধগম্যের বাইরে রয়েগেছে  । কিংশুক বলেন ,এই অবস্থায় কোন কিছুকেই আর তারা হালকা ভাবে নিতে চাইছেন না ।তিনি  জানালেন,
বর্তমান সময়েও টাকা নানা জনের হাতঘুরে তাদের কাছে আসছে । টাকাতেও মারণ করোনা ভাইরাস রয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে । সেই জন্যই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গাড়ি পার্কিংয়ের ভাড়া বাবদ লোকজন যে টাকা দেবেন  সেই টাকা স্যানিটাইজারে চুবিয়ে রোদে শুকনো করার পর তবেই তা ক্যাশ বাক্সে  ভরবেন ।কিংশুকের দাবি তারা যে ভাবে টাকা গ্রহন করছে তা দেখে অন্যরাও একই পথ অবলম্বন করলে ভাইরাস সংক্রমণ রোখা সম্ভব হবে  । ”যদিন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক প্রণব কুমার রায়  জানিয়েছেন ‘ টাকা থেকে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন কোন বিষয় ওনার  জানানেই । ’


 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।